টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ( ১৮ আগস্ট) ভোরে উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আলী কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর (২৫) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের কথা বলে নিয়ে আসে ওই লম্পট প্রেমিক। পরে ভুক্তভোগীকে উপজেলার পৌলী এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মোহাম্মদ আলী। ধর্ষণের পর তার বন্ধু সোহেলের কাছে প্রেমিকা তরুণীকে রেখে চলে যায়। এ সুযোগ নিয়ে বন্ধু সোহেলও ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগী তরুণীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদি হয়ে থানায় লম্পট প্রেমিক মোহাম্মদ আলী (২৫) ও বন্ধু সোহেল (৩০)কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। গত বুধবার গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামীর বন্ধু ফটিকজানী গ্রামের শাজাহানের ছেলে সোহেল রানা (৩০) কে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ভিকটিম ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে লম্পট প্রেমিক ও মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান শেখ জানান, ভোরে উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা প্রস্তুতি চলছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...