১২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলো বন্ধ হয়ে যাওয়া টাঙ্গাইলের লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর ১৭৫ জন শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শ্রমিক ফেডারেশন কার্যালয়ে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণ করা হয়। জনপ্রতি ৬৮৫০ টাকা করে দেয়া ওই ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণ করেন জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক উদয় লাল গৌঁড়, মাহবুবুর রহমান খান বিপ্লব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরী মালিক মো. শাহজাহান মিয়া, জেলা বিক্রি শ্রমিক সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ।
লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, গত নভেম্বর থেকে সপ্তাহের চারদিন কাজের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। দাবিপূরণে তারা ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফ্যাক্টরীর সকল কার্যক্রম বন্ধও করেন তারা। বাধ্য হয়ে ফ্যাক্টরী বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। এরপরও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবিতে আর মানবিক বিবেচনায় বন্ধ ফ্যাক্টরীর ১৭৫জন শ্রমিকের প্রত্যেককে ৬৮৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২৫ পিসের এক প্যাকেট বিক্রির সরকার নির্ধারিত দাম ১৮ টাকা। আর ওই প্যাকেটের গায়ে লাগানো সরকার নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের একটি বান্ডেলের দাম ৯.০৪টাকা। এরপরও রয়েছে শ্রমিক মজুরি। বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে এক প্যাকেট বিড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০টাকায়।
এত কম টাকায় তার ফ্যাক্টরীতে বিড়ি উৎপাদন আর বিক্রি সম্ভব নয় বলেই তিনি ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম বন্ধ করেছেন।
জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান বিপ্লব বলেন, ফ্যাক্টরী বন্ধ হওয়া স্বত্তেও কোন মালিক শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেয় এটা নজির বিহীন ঘটনা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে মরহুম জয়নুল আবেদিন শহরের সাবালিয়া এলাকায় শুরু করেন লাকি বিক্রি ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...