টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী-মধুপুর তথা উত্তর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ধনবাড়ী প্রেসক্লাব যৌথভাবে মুক্ত দিবসের এ বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শামছুল আরেফীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হিরা। মুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন কালু, সালাউদ্দিন টুক্কু, ইউছুব আলী, ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি স.ম. জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী প্রমূখ।
বক্তরা বলেন- ১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবসের রাতে টাঙ্গাইল শহরে সর্ব প্রথম প্রবেশ এবং প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে উত্তর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী-মধুপুর তথা কালিহাতির এলেঙ্গা পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেন এবং এ অঞ্চলে উত্তোলন করেন লাল সবুজের পতাকা। ১০ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ধনবাড়ী ও মধুপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঘাটিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি সেনাসহ ৩ ‘শত রাজাকার আলবদরকে গ্রেফতার করে ঘাঁটিটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। মুক্তি বাহিনীর দখলে আসে বিপুল অস্ত্র। ফলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুহূর্তে হানাদার বাহিনী ও তার দোসরদের মনোবল সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে যায় এবং তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এভাবেই শত্রুমুক্ত হয় উত্তর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে আমি সর্ব প্রথম টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করি এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...