বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। সমস্যা সমাধানে বৃটিশ সরকার বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি রবিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামন্ডপসহ কয়েকটি পূজামন্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিটিশ হাই কমিশনার বলেন, অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাল। এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বসবাস করছে। চমৎকার পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনই তার বড় প্রমাণ।
সকাল পৌনে দশটায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এবং ডেপুটি হাইকমিশনার জাবেদ প্যাটেল কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আলী এহসান, সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর রহমান প্রমুখ।
এরপর কুমুদিনী হাসপাতালের লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে হাইকমিশনার কুমুদিনী হাসপাতাল, নার্সিং স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল করেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়। এরপর ব্রিটিশ হাইকমিশনার লৌহজং নদীর তীর ঘেষা রণদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়ির পুজামন্ডপ পরিদর্শনে যান।
সেখানে তাকে স্বাগত জানান কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক (শিক্ষা) প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক স্বম্পা সাহা।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের শারদীয় দূর্গোৎসব সুন্দর ও আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ। এদেশের মানুষ সম্প্রীতিতে বসবাস করছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
বেলা তিনটার দিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে ঢাকার উদ্ধেশ্যে যাত্রা করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...