টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর এলাকার চৌধুরী পাড়ার দুর্গামন্দির দখল করতে না পারায় উল্টো মন্দির কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নিরঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মধুপুর পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার বংশাই নদীর পাড়ে সরকারি জায়গায় চৌধুরীপাড়া বংশাইপাড় সাবর্জনীন দূর্গামন্দির। মন্দিরটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। মন্দিরের সামনে দিয়ে পৌরসভা পাকা রাস্তা নির্মাণ করছে। রাস্তার অপরপাশের বাসিন্দা নিরঞ্জন ঘোষ মন্দিরের জায়গা দখল করার জন্য অবৈধভাবে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেছিল। পরে বাউন্ডারী ওয়াল স্থানীয়রা ভেঙে দেয়।
জানা গেছে, মধুপুরের প্রভাবশালী নিরঞ্জন ঘোষ তার ভাইয়েরা মিলে রাতের আধারে মন্দিরের জায়গা দখলের জন্য বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে। এছাড়া মন্দিরের প্রতিমাগুলো বংশাই নদীতে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাঁধা প্রদান করে। এসময় মন্দিরের কালী প্রতিমার মূর্তি ভেঙে যাওয়ায় মন্দিরের সামনেই ফেলে রেখে চলে যারা তারা।
পরে এঘটনায় স্থানীয়রা অবৈধভাবে মন্দিরের জায়গায় বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ ও জমি দখলের প্রদিবাদ জানিয়ে এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এতে নিরঞ্জন ক্ষিপ্ত হয়ে মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ১৩জনের নাম উল্লেখসহ ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন নিরঞ্জন।
অন্যদিকে গত ১৪ এপ্রিল চৌধুরীপাড়া বংশাইপাড় সাবর্জনীন দূর্গামন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় সরকার বাদী হয়ে নিরঞ্জনসহ ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫জনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, বংশাই নদীর পাড়ে মন্দিরটি নির্মাণ করার পর থেকেই নিরঞ্জন তা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। করলেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে যা প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে।
মধুপুর চৌধুরীপাড়া বংশাইপাড় সাবর্জনীন দূর্গামন্দির কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ সিং ও সম্পাদক বিদ্যুত কুমার ঘোষ বলেন, এলাকার প্রভাবশালী নিরঞ্জন মন্দিরের জায়গা দখলের পায়তারা করছিল। মন্দিরের সামনে অবৈধভাবে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেছিল। মন্দিরের মধ্যে যে মূর্তিগুলো ছিল সেগুলো রাতের আধারে নদীতে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয়রাসহ আমরা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করি। পরে ক্ষোভে নিরঞ্জন থানায় মামলা দায়ের করে। এরআগেও মন্দির কমিটির সদস্যদের নামে আরো চারটি মামলা দায়ের করে।
চৌধুরীপাড়া বংশাইপাড় সাবর্জনীন দূর্গামন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় সরকার বলেন, মিথ্যা মামলা করে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। মন্দিরটি সরকারি জায়গায় নির্মিত। অথচ মন্দিরের জায়গা নিজের দাবী করে মন্দিরের মূর্তিগুলো নদীতে ফেলে দিয়ে সেখানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা করেছে নিরঞ্জন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...