টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ময়লা ও আর্বজনায় ভরপুর। এতে ক্ষোভ জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা।
বর্তমানে উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও মোছা. ইশরাত জাহান।
রোববার (৭মার্চ ) ঐতিহাসিক ৭মার্চ উদযাপনেও প্রশাসন থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের চারপাশে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। পশুর মলমূত্র, ফলমূলের খোসা পড়ে আছে। চারপাশে সিএনজি ও মোটরসাইকেল পার্কিংসহ দোকান-পাটের বিভিন্ন আসবাপত্র রাখা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাশে। এতে চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহানের বক্তব্য নেয়ার ঘন্টাখানেক পর তার অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মীকে পাঠানো হয় সেখানকার ময়না আবর্জনা অপসারণের জন্য। পরে সেখানকার ময়লা আর্বজনা একত্রিত করে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতির বাউন্ডারির পাশেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। তবে আগুনে পোড়া ময়লাগুলো সেখানেই রাখা হয়।
জানা গেছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলো উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এছাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে নির্মিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভুঞাপুর পৌরসভা ও ইবরাহীম খা সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর আগে প্রতিবছরই এখানে উপজেলা প্রশাসন থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হত।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সৌন্দর্য্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা করেনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও।প্রতিকৃতির চারপাশে যেন ময়লা ভাগার। গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে এই জায়গাটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত ছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ইশরাত জাহান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাশে ময়লার বিষয়টি জানতে পেরে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...