টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কোয়ার্টার কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ না করায় পাড় ঘেঁষে নির্মিত শতাব্দী-প্রাচীন সামাজিক কবরস্থান গ্রাস করছে ঝিনাইনদী। বর্ষামৌসুমে প্রতিবছর ভাঙ্গণের ফলে তিনবিঘা জমির কবরস্থানটির একতৃতীয়াংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। গতকাল বুধবার সরেজমিন গিয়ে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম উত্তরপাড়া ঝিনাইনদীর তীরঘেঁষে নির্মিত শতাব্দী-প্রাচীন সামাজিক কবরস্থানের এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, নবগ্রামের পাঁচশতাধিক পরিবারের জন্য তিনবিঘা জমির উপর নির্মিত এ কবরস্থানের পশ্চিমে ঝিনাইনদী। এ দু’য়ের মাঝে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ছিলো কাঁচাসড়ক। গ্রামের মাঝিবাড়ীসহ উত্তরপাড়া, মধ্যপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার লোকের নিত্যদিনের যাতায়াত এবং পণ্যপরিবহনের মাধ্যম ছিলো এ সড়ক। কালের আবর্তনে সেই সড়কটি গ্রাস করেছে এ ঝিনাই। এবার বছরের পর বছর ধরে গিলছে কবরস্থান। এভাবে চলতে দিলে কাঁচাসড়কটির মতোই পুরো কবরস্থানটি নবগ্রামের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে।
কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার জানান, “ভাঙ্গণের ফলে ঝিনাই নদীর বাঁকঘুরে এখন কবরস্থানের পশ্চিমের অংশ গ্রাস করেছে। প্রতিবছর বাঁশের খুঁটিপুঁতে বস্তায় মাটিভরে ভাঙ্গণ ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে সব প্রচেষ্টাই নদীগর্ভে চলে যায়। আমাদের সমাজের সিংহভাগ মানুষ দরিদ্র। তাদের পক্ষে এভাবে নদীতীর রক্ষা করা সম্ভব না। তাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করবস্থানের এ অংশে নদীতীর সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ গজনবী জানান, নদীর ভাঙ্গণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রায় বছরখানেক আগে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি আবেদন দেয়া হয়েছে। সরকারের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় উক্তস্থানে গাইডওয়াল নির্মাণ করে ঝিনাইনদীর ভাঙ্গণের কবল থেকে কবরস্থানটি রক্ষার দাবি জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...