টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খুন হওয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবী মেহেদী মোস্তফা ওরফে রাজিবের মূল হত্যাকারী চাচাতো ভাই জিহাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত আইনজীবী রাজিব ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের গারাবাড়ী গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে দুলালের ছেলে।
সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের সন্তোষ থেকে ভূঞাপুরে সম্প্রতি খুন হওয়া ঢাকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী মেহেদী মোস্তফা ওরফে রাজিবের মূলহত্যাকারী চাচাতো ভাই জিহাদ (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জিহাদ নিহত আইনজীবীর চাচা মফিজুল হক চন্দনের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এ সময় তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা গোলাম মোস্তফা ওরফে দুলাল বাদী হয়ে নিহতের তিন চাচাতো ভাই জিহাদ, সিফাত, রাহাত আর তাদের মা বেবিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮জুন) চাচা মফিজুল হক চন্দনের ছেলে জিহাদের সাথে তারই চাচাতো ভাই রাজিবের মধ্যে আম পাড়া নিয়ে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। রাজিব বাড়ির গাছের আম পাড়ার জন্য জিহাদদের বাড়ির উচু একটা বাঁশ নিয়ে ছিলেন। এসময় বাঁশটি ভেঙে গেলে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে জিহাদ উপর্যুপরিভাবে তিনবার রাজিবের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে রাজিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের তিনতলা থেকে নিচে নামানোর পথেই মৃত্যু হয় রাজিবের।
নিহত রাজিব ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে ¯œাকোত্তর শেষ করে ঢাকায় একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন। বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় জহুরুল হক শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন নিহত রাজিব।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...