টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে জব্দ হওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ও ত্রাণের ৭১ বস্তা চাল নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। জব্দ করা ৭১ বস্তা চালের মধ্যে ২৪ বস্তা চাল মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছাত্তারের নিকট থেকে এবং বাকী চাল বিভিন্ন জনের কাছে থেকে কিনেছেন বলে চাল ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম স্বীকার করেছেন।
গতকাল সোমবার ও মঙ্গলবার মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদে সরকারী চাল কেনা-বেচার এ তথ্য নিশ্চিত করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন চাল ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম ও ভাইঘাট বাঘিল রজনীগন্ধা রাইচ প্রসেসিং মিলের মালিক সাদিকুল ইসলাম আমিন।
সাদিকুল ইসলাম আমিন জানান, চাল ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম মধুপুরের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছাত্তারের নিকট থেকে ২৪ বস্তা এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বাকী চাল ক্রয় করে মোট ৭১ বস্তা চাল তার মিলে প্রসেসিং করার জন্য এনে ছিলেন।
চাল ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম জানান, জব্দ করা চাল তার কাছে ছাত্তার মেম্বার বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে জব্দ করা চালের জিম্বাদারী ধনবাড়ী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মধুপুরে মামালা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, মামলা দিলে আমরা মামলা নিবো। তবে মামলা ধনবাড়ী থানায় হবে নাকি মধুপুর থানায় হবে তা ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা জানান, জব্দ করা ৭১ বস্তা চালের মধ্যে ২৪ বস্তা চালের ক্লু পেয়েছি। বাকীটা পেলেই একসাথে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ও ত্রাণের ৭১ বস্তা সরকারী চাল গোপন সংবাদে অভিযোগ পেয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট বাঘিল রজনীগন্ধা রাইচ প্রসেসিং মিলে অভিযান চালিয়ে রোববার (০৭ জুন) রাতে জব্দ করে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...