টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। বিগত ভাঙনে যেটুকু সম্বল বেঁচে ছিল সেটিও ভাঙনের কবলে থাকায় চরম হতাশায় দিন পার করছে তারা। ইতোমধ্যে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের মধ্যে নদী ভাঙন যেন মরার উপর খারার ঘা দেখা দিয়েছে নদী পাড়ের মানুষের। পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এছাড়া নদীর এক থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে থাকা বহু ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মন্দির, পোল্ট্রি খামার হুমকির মুখে পড়েছে। যদিও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন থেকে রক্ষা করতে নদী ড্রেজিং করে বাঁধ নির্মাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
জানা গেছে, প্রত্যেক বছর যমুনা নদী ভাঙনের ফলে তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ক্রমেই পূর্ব দিকে ধাপিত হচ্ছে। আবার বালু খেকোরা অবৈধভাবে নদীতে জেগে উঠা চর অপরিকল্পিতভাবে কেটে ট্রাকযোগে বিক্রি করছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া ও কষ্টাপাড়ায় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার করাল গ্রাসে নদী পাড়ের মানুষের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নিচ্ছে। ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়, মন্দির,মসজিদ, বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি খামার, বসতভিটা ও ফসলি জমি। গত বছর ভাঙনরোধে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি এলাকায় দুইশত মিটার এলাকায় নামমাত্র নি¤œমানের জিও ব্যাগ ফেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা ভাঙনরোধে কোন কাজেই আসেনি। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে চলে গেছে। তবে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী।
খানুরবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে খুব পরিমাণে পানি না বাড়লেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে।
কষ্টাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম মনি বলেন, গত বছর চোঁখের সামনে বাড়ির জায়গা জমিসহ একটি ঘর যমুনা নদীতে ভেঙে গেছে। বাকি টুকুতে পরিবার নিয়ে ঝুঁকিতে নদীপাড়ে বসবাস করছি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল অংশ ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্প তৈরি করে সেটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রæত কাজ শুরু হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...