টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বেচ্ছায় লকডাউনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি প্রতিবন্ধকতা রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিঘ্ন চলাচল ও এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর প্রথম আলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মালেক। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার সেবা প্রদান কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। চিকিৎসার জন্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিষয়টি বিবেচনায় প্রতিবন্ধকতাগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থান লকডাউন করা হয়েছে। তবু এলাকার লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। অনেক এলাকায় লোকজন নিজস্ব উদ্যোগে গ্রামের প্রবেশপথে বাঁশের বেড়া দিয়ে কিংবা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। অনেক স্থানে বেড়া দিয়ে লাল পতাকাও টাঙানো হয়।
এর মধ্যে মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন জরুর সভা করে পুরো জেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এ ঘোষণার পর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অতি উৎসাহী লোকজন রাস্তায় অতিমাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কেউ এক স্থান থেকে অন্যত্র যেতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরাও তাঁদের কাজে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। আবর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিবন্ধকতার স্থানে আড্ডা দিচ্ছে। এসব বিষয় উপজেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। তারা গ্রামের সব প্রবেশপথে থাকা প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিতে শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছে।
মহেড়া ইউপির চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর পাঁচ দিন হাসপাতালে থেকে বৃহস্পতিবার এই এলাকার এক গৃহবধূ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হিলড়াতে ওই গৃহবধূকে নিয়ে স্বজনেরা প্রতিবন্ধকতায় পড়েন। পড়ে অনেক রাস্তা ঘুরে তিনি বাড়িতে যান। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলার সময় ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচারের স্থানে সেলাইয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরে চিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এমন নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনার পর মহেড়া ইউনিয়নের সব রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...