০৩:০৯ এএম | টাঙ্গাইল, রোববার, ৫ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

লৌহজং নদীর অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান চলছে

আরিফ উর রহমান টগর | টাঙ্গাইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ | | ১৩১৬
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইল পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার উপর দিয়ে ৭৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত কার্যক্রম চলছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পৌর এলাকার মধ্যবর্তি স্থান ও নদীর পশ্চিম প্রান্তরের বেড়াডোমা এবং কাগমারার নদীর দখলকৃত স্থানের স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু কওে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অবৈধ দখলদারদের সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারনাসহ করা হয় মাংকিং। এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলকৃতস্থানে পরিমাপ করে লাল নিশান লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে আতংকিত দখলদারদের কেউ কেউ তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়। তবে যারা সরিয়ে নেয় নি তাদের গুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৭৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদীর প্রসস্ত ছিল ৩০০’ ফুট। সেটা দখল হয়ে কোন স্থানে রয়েছে ৫০ থেকে ৮০ ফুট।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নদীর দুই পারে দখলদাররা নদী ভরাট করে কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি ও মার্কেট নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এর ফলে নদী হারিয়ে ফেলেছে তার প্রকৃত রূপ। দিন যতই যাচ্ছে দখলদারদের দৌড়াত্ম ততই বেড়েই চলেছে। আবার কোন কোন প্রভাবশালীরা নদীর উপরে বড় বড় ইমারত তৈরি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই নদী রক্ষার আন্দোলন চললেও এটি উদ্ধারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

উচ্ছেদ প্রসঙ্গে কাগমারা এলাকার ফল বিক্রেতা আবুল কাশেমের স্ত্রী ছামেনা (৬০) এর অভিযোগ, বিভিন্ন সূত্রে লৌহজং নদীর দখলমুক্ত করার অভিযান ২৯ নভেম্বর শুরুর কথা জানতে পারেন সে। তবে অভিযান শুরুর আগে যারা নদীর পরিমাপ করেছেন সেটা সঠিক ভাবে করা হয়নি। পরিমাপে স্বজনপ্রীতি ও টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

নদীর জমি দাবীতে তার যে বাড়ীটা ভাঙ্গা হয়েছে সেটা তার পৈত্রিক সম্পতি। জন্মের পর থেকে তিনি এ বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব হোসেন জানান, লৌহজং নদীর অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল।

এই কর্মসূচীতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ টুকরি কোদাল নিয়ে অবৈধ দখলমুক্ত করে নদী খননের জন্য স্বেচ্ছায় কাজে অংশ গ্রহণ করেন। এ দখলমুক্ত কাজ শেষ হলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নদী খনন, নদীর দুই পাড় ঘেষে সাধারণ মানুষের চলাচলে সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

উচ্ছেদ অভিযানে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল সদর আসনের মহিলা এমপি মনোয়ার বেগম, জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন, পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌর প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠণের নেতাকর্মীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ  গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে উ মির্জাপুরে রাতের আঁধারে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি