সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি বলেছেন, প্রয়াত মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন ছিলেন একাধারে একজন রাজনীতিবিধ, সাংবাদিক নেতা ও সফল জনপ্রতিনিধি। তাঁর এই ক্ষুদ্র জীবনে তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি যে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়ে ছিলেন তাঁর নামাজে জানাজায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি সেটাই প্রমান করে।
শুক্রবার সকালে মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি একাব্বর হোসেন এসব কথা বলেন।
মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত শোক সভায় এসময় মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের কর্মময় জীবনের উপর অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, মির্জাপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিয়া, বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোহসীন শিপন প্রমুখ।
সভার শুরুতে মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভা শেষে সাবেক এই সাংবাদিক নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সভায় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের নামে সদরে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণের প্রস্তাব করা হলে এমপি একাব্বর হোসেন পৌরসভার নবনির্মিত মার্কেট সুমনের নামে নামকরণ করে সেখানে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রæয়ারি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন মারা যান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...