লৌহজং নদী উদ্ধারে প্রশাসনের আহবানে সাড়া দিয়ে নিজ উদ্যেগেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে পার্শবর্তী বাসিন্দারা।
উদ্ধার অভিযানের মাত্র দু’দিন আগে শনিবার এমন চিত্র বেশ সাড়া জাগিয়েছে লৌহজং নদী উদ্ধার কার্যক্রমে। সেই সাথে নিজ উদ্যেগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লৌহজং নদী উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি লৌহজং নদীর সীমানা নির্ধারন করে লাল পতাকা লাগানো হয়। এসময় সীমানার মধ্যে পড়া অবৈধ স্থাপনায়ও লাল রং দিয়ে ক্রস চিহ্ন করা হয়।
পরবর্তীতে অভিযানের পূর্বেই পার্শ্ববর্তী অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যেগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নিয়মিত মাইকিং করা হয় এলাকা গুলোতে।
প্রথমদিকে বিষয়টি মাথায় না নিলেও অভিযানের মাত্র দুই দিন আগে হঠাৎ করেই স্থানীয়রা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করে। এমন চিত্রই দেখা গেছে লৌহজং নদীর বেড়াডোমা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়।
স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার স্থিরচিত্র ও ভিডিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে নানা মহলের ব্যক্তিরা ধন্যবাদ জানাতে শুরু করে।
ধন্যবাদ জানিয়ে কমেন্টস করেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন। তিনি তার কমেন্টস এ লিখেন, আমি টাঙ্গাইলের নাগরিকদের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা আমাকে অনেক সাহায্যে করেছেন।
টাঙ্গাইলে দায়িত্বপালনকারী সাবেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিশ্বজিৎ দেব তার কমেন্টেসে লিখেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেই যে অনেক নাগরিক সমস্যার সমাধান হয়, তার একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানোয়ারুল হক বলেন, প্রথম দিনেই আটটি পরিবার তাদের নিজ উদ্যেগে স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই বাকি পরিবার গুলো তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিবে। তবে ২৯ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লৌহজং উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, লৌহজং দখলকারীদের অধিকাংশই কোন না কোন ভাবে প্রতারিত। তারা টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছ থেকে জমি কিনে স্থাপনা তৈরি করেছে। এমন কিছু দখলকারীও আছে যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তাই দায়িত্বশীল একটি সংস্থার মাধ্যমে তাদের তালিকা করা হবে।
তালিকা তৈরির পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...