মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্থগিতকৃত রাজাকারের তালিকায় ভুল হয়েছিল। প্রত্যাহারও করে নিয়েছি। তাই বলে রাজাকারের তালিকা হবে না, তা নয়। রাজাকারের তালিকা অবশ্যই হবে। আরো নিবিড় অনুসন্ধান চালিয়ে উপজেলা ভিত্তিক রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। জানুয়ারি মাসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেই তালিকা আবার যাচাই চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে উপজেলা চত্ত্বরে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন জিয়াউর রহমান রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস ও পিচ কমিটির নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশি দূতাবাসে বিভিন্ন বড় বড় পদে পদায়ন করেছিলেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নিপা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম প্রমূখ।
এরআগে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি ও কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একাত্তরের রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামও আসে। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...