প্রবাসী স্বামী আর কন্যা সন্তান রেখে প্রেমিক নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। প্রবাসে উপার্জিত টাকা আর স্বর্ণালঙ্কার ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে স্বামীর আদালতে মামলা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ। তবে প্রেমিক নিয়ে উধাও স্কুল শিক্ষিকা মাকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাবালিক মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে মাকে ফিরে পাওয়ার আকুতিতে আয়োজিত মেয়ের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য আর লিখিত অভিযোগপত্র এ তথ্য গুলো জানা গেছে।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করটিয়া করাতিপাড়া গ্রামের মধ্যপ্রার্চ্য প্রবাসী সুলতান মাহমুদ (৪৯) আর একই উপজেলার বর্ণি কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মোছাঃ শাহনাজ (৩৩) এর নাবালিকা শিশু কন্যা মাইমুনা আক্তার তানহা (১৩)। গত ৮ নভেম্বর সকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পাড়দিঘুলিয়া এলাকার হাসান মাস্টারের ছেলে ও পরকীয়া প্রেমিক মনিরুজ্জামান মামুন ওরফে মাসুম (৩৯) এর সাথে উধাও হন শিক্ষিকা শাহনাজ।
এ সময় তিনি প্রবাসী স্বামী সুলতান মাহমুদের পাঠানো করটিয়া পূবালী ব্যাংক শাখায় নিজ নামীয় হিসাব নম্বর ৩৪২৫১০১০৪৩৪২০ একাউন্টে থাকা ২০ লাখ টাকা আর ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ আড়াই বছরের ছেলে আদিল আহানাফকে নিয়ে যান। তবে ফেলে রেখে যান ১৩ বছরের কন্যা শিশু মাইমুনা আক্তার তানহা আর প্রবাস ফেরৎ স্বামী সুলতান মাহমুদকে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে অনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় শিক্ষিকা শাহনাজ জানান, চলতি বছরের মে মাসে তার স্বামী সুলতান মাহমুদের সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে তিনি বাড়ি ছাড়েন। ১৬ মে আদালতের মাধ্যমে প্রথম স্বামী সুলতান মাহমুদকে তালাক দেন। এরপর নিজ পরিবারের সম্মতিতে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এ সময় তিনি জানান, গত মে মাসে প্রথম স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করেছেন তিনি। তবে এখন তার উপর অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি ৮ নভেম্বর ওই বাড়ি ত্যাগ করাসহ টাকা আর স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করেছি। ছেলে ও মেয়েকে নিয়েই তিনি বাড়ি ছেড়ে ছিলেন। তবে গত মাসে মিথ্যে আশ^াসে তার মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহা তার আগের স্বামী নিয়ে যান। এখন তার মানহানী করতে এবং মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে এই মিথ্যে নাটক চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ নিয়ে আদালতেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতেই তিনি সুলতান মাহমুদের মুখোমুখি হবেন।
তিনি আরো বলেন, নতুন স্বামী নিয়ে বাড়ি ছাড়ার পর থেকে তিনি বাসাইল উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এছাড়াও রীতিমত তিনি তার কর্মস্থল বিদ্যালয়েও কাজ করে যাচ্ছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...