টাঙ্গাইলের সখীপুরের ঐতিহ্যবাহী শাইল-সিন্দুর খালে মাছ ধরা উৎসব পালন করেছে স্থানীয় মৎস্যপ্রেমীরা।
প্রতি বছরই এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে তারা। মাছ ধরার এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় মাসাধিকাল মৎস্যপ্রেমীদের মধ্যে প্রচারণা থাকে।
নির্ধারিত একটি দিন ধার্যই হয় মাছ ধরার। দিনটিই ছিল গতকাল শনিবার। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কাকড়াজান ইনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন মাছ ধরার উৎসবে উপস্থিত হয়ে মাছ শিকার করেন শাইল-সিন্দুর খালে।
জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও শীত মৌসুমে খাল ও বিলের পানি কমতে শুরু করায় হামিদপুর, কচুয়া, বড়চওনা, সাড়াশিয়া, কালমেঘা, মহানন্দনপুর, শ্রীপুর, বাসারচালা, কুতুবপুরসহ আশপাশের গ্রামের মুরব্বিরা বৈঠক বসে মাছ ধরার উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন।
নির্ধারিত ওই দিনে শত শত লোক পলো, জাল, দড়ি ও মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দলবদ্ধভাবে নির্ধারিত খালে হাজির হয়।
ওই মাছ ধরা উৎসবে শিকারিদের অনেকেই বোয়াল, মিনার কাপ, শোলসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরেছে।
পলো দিয়ে পানিতে একের পর এক চাপ দেওয়া আর হৈ-হুল্লোড় করে সামনের দিকে অঘোষিত ছন্দের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া চিরচেনা গ্রামবাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় এক অন্যরকম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। উৎসবে পলো ছাড়াও ফার জাল, ছিটকি জাল, ঝাঁকি জাল ইত্যাদি দিয়েও মাছ ধরে অনেকে।
এ বিষয়ে বাঘেরবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী বড় একটি শোল ধরে মন্তব্য করেন, পলো দিয়ে মাছ ধরার আনন্দই আলাদা। আমরা প্রতি বছর এ সময় মাছ ধরি। এটি আমাদের একটি উৎসব।
কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। মৎস্যপ্রেমীরা এটি আনন্দ উৎসব হিসেবে গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...