টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন নাটোর জেলার বনপাড়ার মো. মোস্তফা মিয়া (৪০), একই জেলার বড়ইপাড়া উপজেলার কয়েনবাজার গ্রামের সামাদ মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৫), নওগাঁ জেলার গোয়ালপাড়া উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের গমন সরদারের ছেলে ইয়াছিন (৫০) ও মির্জাপুর উপজেলার মীর দেওহাটা গ্রামের বদর উদ্দিন (৬৫)।
বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুল্যা মুনসুর নামকস্থানে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কদিম দেওহাটা নামকস্থানে।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল আটটার দিকে রেকার দিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে সাতটার দিকে ঢাকাগামী একটি বাস মহাসড়কের দুল্যা মুনসুর নামকস্থানে সামনে থাকা একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ওই সময় বাসের পেছনে অপর একটি বাস ও কাভার্ডভ্যানের পেছনে অপর একটি ট্রাকের সাথেও ধাক্কা লাগে। এতে চার যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মোস্তফার মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
স্থানীয় জনগন, মির্জাপুর ও গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠান। এদের মধ্যে বিকেলে সোহাগ ও ইয়াছিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে সকাল ১০টার দিকে সখিপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহি বাসের চাকায় মহাসড়কের কদিম দেওহাটা নামকস্থানে বদর উদ্দিন নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হন। তার বাড়ি উপজেলার মীর দেওহাটা গ্রামে।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বাবলু শেখ বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...