পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী। তিনি জানেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশের নদ নদী ও এর তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তাইতো সরকার একদিকে যেমন নদীর ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছে পাশাপাশি যে সকলনদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে সেসকল নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও ধলেশ্বরী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই কিভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। নাগরপুরের যমুনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা, মাইঝাইলসহ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাও সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ায় ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন রোধেজিওব্যাগ ফেলার পরামর্শ দেন।
পরে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান তিনি।
পরে উপমন্ত্রী নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম দেখতে যান।
এ সময় তার সাথে ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক এস এম শফিকুল হক, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম, দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. নাদিরা আখতার, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. কুদরত আলী, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারন সম্পাদক এম শিবলী সাদিকসহ সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...