টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মা ইলিশ ধরার অপরাধে পাঁচ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ছয় জনকে অর্থদন্ড প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ।
অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভূঞাপুর উপজেলার পূর্নবাসন গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত মনু শেখের ছেলে শহিদুল, একই উপজেলার খানুরবাড়ি গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রফিকুল, কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের জয়নাল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, একই গ্রামের জয়নাল আলীর ছেলে আয়ুব আলী ও জুলমত আলীর ছেলে মোতালেব।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর থেকে উপজেলার নলিন বাজার এলাকা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ ও আটক পাঁচ জনের প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশে ইলিশের জোন না হওয়ায় প্রশাসনের থেকে জেলেরা কোন বরাদ্দ পাইনি। জেলেদের জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা যমুনা নদী থেকে মা ইলিশ ধরছে তারা।
জেলেদের অভিযোগ, মাছ না ধরতে পারায় পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না। বাধ্য হয়েই মাছ ধরছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকান আর্থিক সহায়তা না করে উল্টো আমাদের জাল নিয়ে ধ্বংস করছে এবং জেল-জরিমানা করছে। একেকটা জাল তৈরি করতে এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা সুদের টাকা দিয়ে বানানো হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...