টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে চলন্ত বাসে গণধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে তার স্বজন ও মানবাধিকার কর্মীরা।
বুধবার টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ধর্ষনের শিকার তরুনীর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আজাদ দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, আজকে দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এ সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হচ্ছে না। যার কারণে একের পর এক ঘটনা ঘটছে।
এদিকে গণ ধর্ষনের এ ঘটনায় ৫ জনকেই আটক করা হলেও তিন জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকী ২ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া অপরাধীরা হলেন- বাসের হেলপার ময়মনসিংহ জেলার মির্জাপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আকরাম, এমদাদুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দীবাড়ি গ্রামের খোরশেদের ছেলে শামীম হোসেন। এছাড়া মধুপুর থানায় আটক অপর দুইজন হচ্ছে বাসের চালক হাবিব ও সুপারভাইজার সফর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুনী রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়ির সহকারি পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...