টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হাসান মিয়া ওরফে হাসু (৬৫) কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী সজল মিয়া ওরফে উজ্জলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার গোড়াই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজল মিয়া ওরফে উজ্জল উপজেলা সদরের সরিষাদাইড় গ্রামের মৃত নফেজ উদ্দিনের ছেলে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মির্জাপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামে মেয়ের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে হাসান মিয়া ওরফে হাসু (৬৫) মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন নিহত হাসান মিয়ার ছেলে রাকিব বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ৩ নম্বর আসামী লায়লী বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত হাসান মিয়া ওরফে হাসু মির্জাপুর পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী গ্রামের মোকছেদ মিয়ার ছেলে। গত প্রায় ১০ বছর আগে হাসান মিয়ার মেয়ে রুবিনার বিয়ে হয় ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামের মফেজ উদ্দিনের সৌদি প্রবাসী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে। কয়েকদিনে আগে বাড়ির সীমানা নিয়ে তার মেয়ে রুবিনার সঙ্গে দেবর সজল, ননদ নিলুফা, শাশুড়ি লাইলি বেগম ও দেবরের বউ ঝুমার সঙ্গে ঝগড়া হয় রুবিনার। গত সোমবার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে রুবিনা বাবার বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে হাসান মিয়া মেয়ে রুবিনা, ছেলে রাকিব ও মেয়ে জামাই মান্নানকে নিয়ে রুবিনার শ্বশুর বাড়ি যান। সেখানে সীমানা বিরোধ নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবিনার দেবর গ্রেপ্তার সজলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসান মিয়াকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে। এতে হাসান মিয়া অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাসান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম মামলার প্রধান আসামী সজল মিয়া ওরফে উজ্জলকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...