টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দশকিয়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী হাসনা বেগম (২৮) দুই শিশু কন্যাসহ ১৭দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানা ও টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার বরাবর দুইটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
মামলার বাদীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দেলদুয়ার উপজেলার ঘুনিকিশোর গ্রামের হাছান সিকদারের মেয়ে হাসনা বেগমের সাথে ১৪ বছর পুর্বে একই উপজেলার দশকিয়া গ্রামের হাসমত আলীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের ঘরে মরিয়ম আক্তার (১১) ও মিম আক্তার (৫) জন্ম গ্রহন করে। এর মধ্যে হাসমত আলী জীবিকার প্রয়োজনের বিদেশে পারিজমান।
হাসনা বেগমের ভাসুরের স্ত্রী শারমিন বেগম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভাটচান্দা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীরের (৫২) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এর সুবাদে জাহাঙ্গীর হোসেন বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে হাসনা বেগমের সাথে আলাপ আলোচনা করতো।
পরবর্তীতে গত ১৮ জুন হাসনা বেগম ও তার দুই নাবালিকা মেয়েসহ প্রবাসী হাসমত আলীর গচ্ছিত টাকা পয়সা গহনা নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় হাসনা বেগমের বাবা হাছান আলী বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ও হাসনা বেগমের জা-কে আসামী করে দেলদুয়ার থানায় ও টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে নিখোঁজের ১৭দিন চলে গেলেও হাসনা বেগম ও তার দুই নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
নিখোঁজ হাসনার চাচাতো ভাই সাইফুল সিদকার জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন একজন প্রতারক। তার দুই স্ত্রী রয়েছে। সে অর্থের লোভে হাসনা বেগম ও তার দুই মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। দ্রæত উদ্ধার করতে না পারলে জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের খুন, গুম এমনকি বিক্রি করে দিতে পারেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...