টাঙ্গাইলের সখীপুরে চুরি হওয়া স্মার্টফোনের পেছনে ছুটতে গিয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার থেকে পাঁচদিন ধরে ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন।
গত বুধবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় আসামির নাম দিয়ে একটি অপহরণ মামলা করলেও পুলিশ ওই মামলাটিকে সাধারণ ডায়রি (জিডি) হিসেবে নথিভ‚ক্ত করেছেন।
নিখোঁজ হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম আখতারুজ্জামান রাব্বী (১৬)। সে উপজেলার শোলাপ্রতিমা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। রাব্বী এবার উপজেলার কাহারতা উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলে হারিয়ে যায়নি। তাঁর আপন ভাগনে সাজ্জাত হোসেন (২৮) একজন চিহিৃত অপরাধী। সে আমার ছেলেকে কৌশলে অপহরণ করেছে। থানায় অপহরণ মামলা করতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে জিডি নেয়। পাঁচদিন হয়ে গেলেও আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই শিক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্র জানায়, গত রোববার (২৭ জুন) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দরানিপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাত হোসেন (২৮) সখীপুরে মামার বাড়ি বেড়াতে আসে। নিখোঁজ আখতারুজ্জামান রাব্বী সম্পর্কে সাজ্জাতের আপন মামাতো ভাই। সাজ্জাতের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় তিনটি ও মির্জাপুর থানায় তিনটিসহ ছয়টি চুরি-ডাকাতি মামলার অভিযোগ রয়েছে।
সাজ্জাত ওইদিন দুপুরে খাবার খাওয়ার পর বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তাঁরা জানতে পারে সাজ্জাত তাঁর মামা বাড়ি থেকে রাব্বীর স্মাটফোন ও আলমারি ভেঙে পাঁচ হাজার টাকা ও সামান্য কিছু স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে।
পরের দিন রাব্বী বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে রাব্বীর চুরি হয়ে যাওয়া ফোনে কল করলে সাজ্জাত হোসেন ফোনটি ধরেন। তাঁকে তাঁর বাড়ি মির্জাপুরে এসে ফোনটি নিয়ে যেতে বলে।
পরে রাব্বী ওই চুরি হওয়া ফোনের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাব্বীর বাবা সাজ্জাতের বাড়িতে ফোন দিলে তাঁরা বলেন, রাব্বী এ বাড়িতে আসেননি। এরপরে রাব্বী ও সাজ্জাতকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সাজ্জাত হোসেনের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে সাজ্জাত হোসেন এখন আগের চেয়ে ভালো। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। তাঁর নামে থানায় যেসব মামলা আছে এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক। রাব্বীকে আমার ছেলে অপহরণ করেনি। রাব্বী হয়তো নিজে থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন বলেন, আখতারুজ্জান রাব্বীর বিষয়ে থানায় একটি হারানো জিডি হয়েছে। বাবার করা অপরণের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। রাব্বী নিজে থেকেই হারিয়ে গেছে। তাকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে তার মুঠোফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ওই ফোনটি উদ্ধার করতে পারলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...