কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বর্তমানের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। আমাদের দেশের ক্ষেতগুলো ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হওয়ায় কৃষকরা বিভিন্ন জমিতে বিভিন্ন সময়ে চারা রোপন করেন। ফলে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যায় না। ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে চাষ করলে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর হবে। কৃষকের সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষকরা লাভবান হবেন।
শনিবার(২০ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়া গ্রামে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে(ব্লকে) ধানের চারা রোপণের উদ্বোধন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে ১ ঘণ্টায় ধানের চারা রোপণ করা যায়। এর ফলে একর প্রতি কৃষকের খরচ কমবে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। আগামি ৪-৫ বছর পরে কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে ওই কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। অন্যাণ্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর প্রমুখ।
কেন্দুয়া গ্রামের ৯০ জন উদ্যোগী কৃষক ৫০ একর জমিতে হাইব্রিড ধানের ‘সমলয়’ চাষাবাদ পদ্ধতির প্রদর্শনী স্থাপন করেছে। সেখানে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড হিরা-১ জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, ‘সমলয়’ চাষের এক নতুন পদ্ধতি। সবাই মিলে একটি ব্লকে(জমিতে) একসঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা হয়। বীজতলা থেকে কর্তন সহ সকল প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সমসময়ে করা হয়। এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ করতে হলে ট্রেতে চারা তৈরি করতে হয়। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারেন। একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান এসব কারণে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর ও বৃদ্ধি হবে।
এর আগে মন্ত্রী ধনবাড়ীর বিরতারা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন(ব্যারিড লাইন) পরিদর্শন ও উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে হাতিবান্ধা বিলের মাঠের ৩০০ একর জমির জলাবদ্ধতা দূর হবে। এক ফসলি জমি দুই বা তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...