প্রথমবারের মত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুরের প্রচেষ্টায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে সব ধরণের জনদূর্ভোগ রোধ হয়ে অফিসটি বর্তমানে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসের অতীতের চেয়ে সব ধরণের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অফিসে আর আগের মত অপ্রয়োজনীয় জনগণের ভিড় দেখা যায় না। নেই কোন বস্তাবন্দী ফাইল। নেই কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে- অফিসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সারাদিন কাজ করে এ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুরের সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা গেছে। গত এক বছরের অফিসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুরের কর্মতৎপরতা ও সৃজনশীলতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ই-নামজারি আবেদন ফ্রন্টডেস্কে আপলোড কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে করে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নির্ভুলভাবে ই-নামজারি আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও সারাদেশের ন্যায় নাগরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ১০ কার্যদিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামজারি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও নামজারিসহ অন্যান্য সেবা এখন সেবা প্রত্যাশিরা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কোন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় তার ভূ-সম্পত্তির হিসাব করতে পারছেন। অপরদিকে ই-নামজারী সিস্টেমের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই নামজারির আবেদন করতে পারছেন। যা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়াও অনুমোদিত মিউটেশন খতিয়ানগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সুবিন্যাস্তভাবে সাজিয়ে তা সুচিপত্র তৈরি শেষে ভলিউম আকারে বাঁধাই করা হচ্ছে। তাছাড়াও কম্পিউটারে স্ক্যান করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে যেকোন নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই বাছাই করতে পারবেন কিংবা জমি ক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে সহজেই যাচাই করতে পারবেন।
এছাড়া আবেদনের সময় সংযুক্ত কোর্ট জালিয়াতি রোধে সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কর্মতৎপরতা উল্লেখযোগ্য। তিনি কোর্ট ফি যাচাই করে আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। ফলে কোর্ট ফি হতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। অন্যদিকে জনগণ কোর্ট ফি জালিয়াতির প্রতিরোধ হচ্ছে। তাছাড়া আবেদন ফরম ও কোর্ট ফি সেবা গ্রহিতাদের সহজীকরণের লক্ষে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেবা গ্রহিতারা ভূমি অফিস থেকে সরাসরি ও খুব সহজেই ভূমি সেবা পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চার্টার। এর মাধ্যমে সেবা গ্রহিতারা ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ,পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে। ফলে সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। সেবাগ্রহিতাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অফিসের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে ।বিভিন্ন আবেদনের তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করতে অফিসে একটি ফ্রন্টডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুর বলেন, যোগদানের পর থেকে গত এক বছরে ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রহিত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ফলে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কাজ শুরু করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই কাজগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারের অংশ হিসাবে জনগণের ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...