টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া শ্যামলী (গরুর হাট) এলাকার আল এহসান নূরানী ও হেফজ মাদরাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার দুই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বলাৎকারের শিকার দুই শিক্ষার্থী ঘাটাইলের পশ্চিমপাড়ার আল এহসান নূরানী মাদরাসার হেফজ খানার ছাত্র।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাদারসার শিক্ষকরা হলেন, গোপালপুর উপজেলার শরিফপুর গ্রামের হেকম আলীর ছেলে রমিজুল (২২) ও ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে খায়রুল (২২)। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটাইল পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়াা মাদরাসার হেফজ খানায় দুই শিক্ষার্থীকে মাদরাসার দুই শিক্ষক রমিজুল (২২) ও খায়রুল বলাৎকার করেন। বিষয়টি তারা বাবা-মাকে জানালে, পরে তারা পুলিশকে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (৯ক ধারায়) মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫।
বলাৎকারের শিকার এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, ঘটনার শিকার আমার ছেলে ভয়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে নানির বাসায় আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী সেখানে যাই। কারণ জানতে চাইলে ছেলে বলে আমি আর মাদরাসায় যাবোনা। হুজুর আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। আমাকে মাদরাসায় পাঠালে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মরে যাব।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মতিউর রহমান বলেন, বলাৎকারের শিকার শিশুরা নির্যাতনের বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবার থানায় অভিযোগ দেন। পরে মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক রমিজুল ও খায়রুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...