ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুরের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত শুক্রবার ভোর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। মহাসড়কে পশুবাহি ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাসের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা ৮৯ মিনিট বন্ধ থাকার কারনেই মহাসড়কে এই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিস্থান পরিবহনের কনডাক্টর বেলাল হোসেন বলেন, গত রাত ১১টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। রিজার্ভের যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন সিরাজগঞ্জ। এখন শুক্রবার বেলা ১১টা বাজে আটকে আছি টাঙ্গাইল আশেকপুর বাইপাসে। সিরাজগঞ্জ পৌঁছাতে আর কত সময় লাগবে বোঝা যাচ্ছেনা। এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বাইপাইল পর্যন্ত আসতেই সারারাত কেটে গেছে। এরপর থেমে থেমে যানজটে পড়েছেন তারা। টাঙ্গাইল অংশের গোড়াই থেকে পাকুল্লা পর্যন্ত আসতে তাদের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘন্টা। এরপর পাকুল্লা থেকে থেমে থেমে এই পর্যন্ত এসেছেন। এতে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
পাবনা এক্সপ্রেস গাড়ী যাত্রী সাজ্জাদ বলেন, ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে রাতে রওনা দিয়েছেন তারা। এখন টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে যানজটে আটকে আছেন। পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
আশেকপুর বাইপাসে দায়িত্বরত টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের সহকারী টিএসআই বাবর আলী বলেন, মহাসড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকার মত কোথাও যানজট নেই। তবে সেতুতে পারাপারের সমস্যা জনিত কারণে মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের সিগনাল দিয়ে গাড়ী চলাচলে বিরতি দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, মহাসড়কে গত চব্বিশ ঘন্টায় ৪৮ হাজার ৩শ ২১টি গাড়ি আসা যাওয়া করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানোর জন্য টোল প্লাজা ৮৯ মিনিট বন্ধ রাখা হয়। এ কারনে কিছু কিছু স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দুই তিন ঘন্টার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...