টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র ‘‘করোনা সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়: প্রেক্ষিত মধুপুর” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৩ জুলাই) সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সনাক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রশিদ খান এতে সভাপতিত্ব করেন।
জুম ক্লাউড মিটিং অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সনাক সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সনাকের পক্ষে করোনা সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতায় করণীয় বিষয়ে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম খান, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল, রুনা লায়লা ,সনাকের শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল লতিফ, টিআইবি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফজিলা খানম ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিত্ত রঞ্জন রায় এবং ইয়েস লিডার খালেদুজ্জামান মানিক ও সদস্য উবায়দুল্লাহ।
সভায় করোনা সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রমে সরকারের ইতোমধ্যে নেয়া পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়- প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী- যাদের টেলিভিশন ও ইন্টারনেট সুবিধা নাই এবং বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কারিগরি সমস্যাজনিত কারণে “সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন” এ সম্প্রচারিত সাপ্তাহিক পাঠদান ‘ঘরে বসে শিখি’র মাধ্যমে পাঠগ্রহণের সুযোগ কম, তাদের পাঠদান নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষকগণ নিজেদের মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ ও কর্মপরিকল্পনা গহণের সুবিধার্থে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি ব্যবহার করার উৎসাহ দেয়া হয়। প্রতিদিন দিনের সুবিধাজনক সময়ে প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকগণের সাথে মেসেঞ্জারে মতবিনিময় সভা করা এবং শিক্ষকগণ যেন প্রতিদিন অন্তত: ১০ জন শিক্ষার্থীর সাথে (অভিভাবকদের মোবাইলে) যোগাযোগ করেন। সপ্তাহে অন্তত: দুইদিন সুবিধাজনক সময়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের প্রধান শিক্ষকগণের সাথে মেসেঞ্জারে মতবিনিময় করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সনাকের পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এছাড়া শিক্ষকগণের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণের আয়োজন করাসহ আবো বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সর্বোপরি, করোনাকালীন বা তৎপরবর্তীতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য শিশু শ্রম ও বাল্য বিবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে - এটি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা ইত্যাদি’র ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ, সনাক সদস্যবৃন্দ, টিআইবি’র প্রতিনিধি ও ইয়েস সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...