অসময়ের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বাসাইলের কয়েকটি ইউনিয়নের শতশত হেক্টর জমির কাঁচা আধা পাকা বোরো ধান ক্ষেত। শেষ সময়ে এসে ভেঙ্গে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। ধান কেটে বাড়ি উঠাতে না পেরে চরম বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। এক দিকে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের থাবায় শ্রমিক সংকট অপর দিকে বৃষ্টিতে বোরো ধান কেড়ে নেওয়ায় শতশত কৃষক এখন সর্বশান্ত।
শনিবার উপজেলা সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এসময় কৃষকরা বলেন, একমুঠো ধানও গোলায় তুলতে পারবো না, সারা বছর আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
বাসাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং বীজ, সার, কীটনাশকের দাম কম এবং সেচের কোন সংকট না থাকায় চলতি বছর বাসাইলে বোরো ধান আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার ১১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার মোট আবাদের ৫৫ ভাগ প্রায় ৬ হাজার ১১৬ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিচু অঞ্চলের কাঁচা ও আধা পাকা বোরো ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসুলিয়া, মিরিকপুর, রসড়া, হান্দুলী ও নাইকানীবাড়ীর নিন্মাঞ্চল, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের মটেশ্বর, পূর্ব পৌলি, সিংগারডাকসহ দক্ষীন-পূর্বাঞ্চলের বিস্তির্ন নিন্মাঞ্চল এলাকাসহ ফুলকি ইউনিয়নের দক্ষীন অঞ্চল স্থল বল্লা, নিরাইল ও ফুলবাড়ি এলাকার হাজার হাজার একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
বাসাইল উপজেলা কৃষি অফিসার নাজনিন আক্তার জানান, উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার নিচু জমির ধান বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়েছে। যে সব এলাকায় বোরো ধান ক্ষেত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ঐ সব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া যে সকল জমির ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে সে গুলো কেটে ফেলতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সর্তক করা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...