টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল আর পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। করোনা শনাক্তের পর আক্রান্তদের বসবাসরত উপজেলা পৌর শহরের খাসসূতি আর নন্দনপুর এলাকার ১১টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল গোপালপুর পৌর শহরের খাসসূতি এলাকার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে আর পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর নন্দনপুর এলাকার মৃত. হাসেন আলীর ছেলে।
জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ১২৭ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয় তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭৩ জনে। এছাড়াও ঘাটাইলে এক মৃত ব্যক্তির দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। এছাড়াও এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন। টাঙ্গাইল থেকে এ পর্যন্ত ৩১০১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জনের। আর নেগেটিভ ২৯০১ জন। ১২৭ জনের নমুনা এখন আসেনি।
সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলীম আল রাজি বলেন, গত ১মাস যাবৎ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল সর্দি, কাঁশি আর গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। করোনা সন্দেহে তিনি গত ১৫দিন আগে সে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। তবে ওই পরীক্ষায় তার দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে এরপরও তার করোনা উপসর্গ সর্দি, কাঁশি আর গলা ব্যথা সেড়ে উঠছিলনা।
এ কারণে গত ১১ মে পূনরায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও গোপালপুর থানার ওসি এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল সংস্পর্শে থাকার কারণে এবং কোন উপসর্গ না থাকা স্বত্তেও পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর এর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের দুইজনের দেহেই করোনা শনাক্ত হওয়ার তথ্য পান তারা। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল বাড়ির পাশের ৬ টি আর পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর এর বাড়ির পাশের ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...