উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ছয় দিন পেড়িয়ে গেলেও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আ.লীগ নেতাকে হত্যার সুষ্ঠ বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।
এদিকে হত্যার সুষ্ঠ বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদের গ্রামের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মিছিলটি অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রাম থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিলকারীরা।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ভারই গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও সাবেক পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাস তালুকদার বিদ্যুৎ।
কাউকে আটক করতে না পারায় ও মামলা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত না করতে সমাবেশ থেকে সংশ্লিষ্টদের সর্তক করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
উলেখ্য, গত সোমবার রাতে কোন এক সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরিদকে গলা কেটে হত্যার পর তার বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় পরে দিন মঙ্গলবার অজ্ঞাতব্যক্তিদের আসামী করে ভ‚ঞাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাকান্ডের ছয়দিন অতিবাহিত হলেও আ.লীগ নেতাকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ফরিদ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন, আসামী সনাক্ত করণ ও গ্রেফতার দাবীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ভারই গ্রামের লোকজন আলাদা আলাদা কর্মসূচী পালন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ভারই গ্রামবাসীর ব্যানারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ দুপুরে ভ‚ঞাপুর-তারাকান্দি রোডে মানববন্ধন পালন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট, সাবেক পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ, সাবেক উপজেলা যুগ্ম আহŸায়ক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া ও আজহারুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজ আলী, সাবেক পৌর কমিশনার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...