করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ঘরে থাকার নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নিম্ন মধ্যবিত্তরা। উপার্জন বন্ধ থাকায় তাদের অনেকের ঘরেই খাবার নেই। এসব ব্যক্তিরা সামাজিক সম্মানে ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়াতেও সংকোচবোধ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে একজন চা বিক্রেতার কল পেয়ে রাতের অন্ধকারে থানা থেকে দশ কিলো. দূরে তার বাড়ীতে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের কাহেতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, একজন দরিদ্র চা বিক্রেতা গোপালপুর থানার মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে চা দোকান বন্ধ থাকায় খাবার জোগার করা তার জন্য একেবারেই কঠিন হয়ে গেছে। এমন খবর পেয়ে প্রথমেই তিনি বাজারে ছুটে যান খাবার কিনতে। কিন্তু বাজারের সকল মুুদি দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে আসেন। পরে স্থানীয় সাংসদ ছোট মনিরের ত্রাণভান্ডার থেকে কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে রাতেই ছুটে চলেন চা বিক্রেতার বাড়ী।
সেখানে ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদারের উপস্থিতিতে চা বিক্রেতার হাতে এসব খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন তিনি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, চা বিক্রেতা একজন নিম্ম আয়ের দরিদ্র মানুষ। দোকানটি ছাড়া তার আয়ের অন্য কোনো মাধ্যম নেই। দেশের এই পরিস্থিতিতে দোকান বন্ধ রাখায় সে খুব বেকায়দায় পড়েছে। ঘরে কোনো খাবার নেই। এমন পরিস্থিতিতে এসব ত্রাণসামগ্রী তার হাতে পৌঁছে দেয়া হয়।
ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি সরকারের কোনো ত্রাণ দপ্তরের কর্মী নই। তারপরেও একজন চা বিক্রেতার কল পেয়ে তার হাতে কিছু ত্রাণসামগ্রী তুলে দিতে পেরেও বাংলাদেশ পুলিশ মানুষের এই আস্থার জায়গায় পৌঁছানোর জন্য একজন পুলিশ সদস্য হিসাবে সত্যিই আমি গর্বিত।
এসআর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...