টাঙ্গাইলে বাউল শরিয়ত সরকার (৩৫)এর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মির্জাপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক আকরামুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস আকবর খান জানান, তিনদিনের রিমান্ড শেষে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাউল মরিয়ত সরকারকে আদালতে হাজির করাসহ জামিনে আপত্তি জানায়।
পুলিশের জামিনের আপত্তিসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা উল্লেখপূর্বক উপস্থাপনের পর আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেক পীরে কামেল হযরত হেলাল শাহর ১০ম বাৎসরিক মিলন মেলায় পালাগানের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বাউল শরিয়ত সরকার। ওই পালাগান পরে ইউটিউবের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পালাগানে তিনি হযরত দাউদ নবী (আ.) ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার আগধল্যা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মাওলানা মো. ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় তাকে শরিয়ত বয়াতির বিাংদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ১১ জানুয়ারি সকালে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে বাউল শরিয়ত সরকারকে গ্রেফতার ও বিকেলে আদালতে পাঠানোসহ ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
পালাগানে শরিয়ত সরকার বলেন, গান-বাজনা হারাম কোরআনে কোথাও লেখা নেই। এছাড়া দাউদ নবী কোনো নবী নন, তিনি বয়াতি ছিলেন। রাসুল (সা.) গান না শুনে ঘুমাইতেন না।
তিনি আরও বলেন, নবীজি (সা.) আবু মুসা আশয়ারী (রা.)-কে ২৩ রকমের গানের বাদ্যযন্ত্র হাদিয়া প্রদান করেছেন। ওইসব বাদ্যযন্ত্র দাউদ নবিজির ছিল। মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্ম নিয়েও ভুল ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ওই পালাগান অনুষ্ঠানে বাউলশিল্পী আরও বলেন, যারা নামাজ পড়ে সেজদা দিয়ে কপালে কালো দাগ করে, তাদের কপাল থেকে ১১৩টি কিরা (একধরনের পোকা) বের হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...