মাদক মামলায় রাতে পুলিশের হাতে পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর দিন সকালে ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটেছে,টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ার কুষ্টিয়া গ্রামে। হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরের নাম মো. বিল্পব মিয়া (১৫)। সে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে। হত্যা কান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদ।
নিহতর মামা জুয়েল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তার ভগ্নিপতী উজ্জ্বল মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে। বিজয় দিবসের ছুটিতে পরিজন নিয়ে রোববার গ্রামের বাড়ীতে আসে সে। মাদক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভক্ত আসামী উজ্জ্বল মিয়াকে নাগরপুর থানা পুলিশ সোমবার সন্ধায় কাঁচপাই মোড় থেকে গ্রেফতার করে। স্বামীর গ্রেফতারের খবর শুনে স্ত্রী বীথি আক্তার ছেলে বিপ্লবকে বাড়ীতে রেখে ওই রাতে নাগরপুর থানায় স্বামীকে দেখতে যায়। বাড়ী ফিরে ছেলে বিপ্লবকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়ার পর কোন সন্ধান না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
পর দিন সকালে বীথি আক্তার তার স্বামী উজ্জ্বল মিয়াকে মুক্ত করার জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে যায়। এ দিকে সকালের দিকে ধুবড়িয়ার কুষ্টিয়া বিলের পাশে সরিষাক্ষেতে ছেলে বিল্পবের গলা কাটা মরদেহ পরে থাকার খবর পায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত বিল্পবের লাশ তার মামা জুয়েল মিয়া সনাক্ত করে। এ সময় স্বজনদের আহাজারী ও আর্তনাদে সেখান কার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে। সন্তানের গলা কাটা লাশ দেখে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা বীথি আক্তার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার কারণ জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, অজ্ঞাতনামা দূর্বূত্তরা সোমবার রাতে বিপ্লবকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কুষ্টিয়া বিলের পাশে নির্জন সরিষাক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...