টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে চাঁদনী বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত চাঁদনী বেগম উপজেলার মাদারজানি গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মাহমুদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার মাদারজানি গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে চাঁদনী বেগমের সাথে একই উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের আখতার হোসেনের ছেলে খোকন মিয়ার সাথে ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের জান্নাতী (৩) আবদুল্লাহ (৩ মাস) বয়সী দুটি সন্তান ও রয়েছে।
চাঁদনীর বাবা চাঁন মিয়ার অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই জামাতা খোকন যৌতুকের জন্য চাঁদনীকে প্রায়ই মারধর করতো। দাবি মতো টাকা না দিলে আমার মেয়ের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতো। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে চাঁদনীকে দুই দফা মারধর করা হয়। সারাদিন তাকে খেতে দেয়া হয়নি। সন্ধ্যার পর খোকন তাকে তৃতীয় দফা মারধোর করতে গেলে চাঁদনী আত্মরক্ষার্থে রান্না ঘরে খিল দিয়ে আশ্রয় নেন। পরে রাতের কোন এক সময় চাঁদনী রান্না ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না বেঁেধ গলায় ফাঁস দিতে আত্মহত্যা করে। নির্যাতন সইতে না পেরে চাঁদনী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরে সেখানেই তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...