টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে ভাগ্নেদের হাতে নৃসংশভাবে মামা আ. হামিদ (৪৫) হত্যাকাদীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবীতে গতকাল শুক্রবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড হতে ধনবাড়ী থানা পর্যন্ত এলাকাবাসী দীর্ঘ লাইনে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীসংবলিত পোষ্টার-ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধনে মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই তোরাপ আলী এ হত্যাকান্ডে নেতৃত্বদানকারী কুর্শি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ আলী ও কাবেল উদ্দিনের ছেলে হাসমত আলীকে মামলার আসামী হিসাবে সংযুক্ত এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে জোর দাবী জানান।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্ত্য রাখেন- কুর্শি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কছিম উদ্দিন, ভূমিহীন সমিতির সমন্বয়কারী আমজাদ হোসেন, নিহতের স্ত্রী মইফুল বেগম, মা হাজেরা বেগম, বোন ময়মনা বেগম, মেয়ে পাখি আক্তার প্রমূখ।
মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ধনবাড়ী উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ করে।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মধুপুর-ধনবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি কামরান হোসেন স্যারের নেতৃত্বে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আলামত উদ্ধার করেছি। আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য গত, (১০ আগস্ট) শনিবার আ. হামিদ ঘরের কাজের জন্য ভাগ্নেদের বাড়ীর পার্শ্বে বাঁশ ঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে মামা আ. হামিদকে একা পেয়ে ভাগ্নেরা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দৌঁড়ে এসে আ. হামিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার (২৫ আগষ্ট) ভোরে তার মৃত্যু হয়
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...