১২:৫৩ এএম | টাঙ্গাইল, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

অগ্নিদগ্ধ শিশু গৃহপরিচারিকা মিনা মৃত্যুর প্রহর গুনছে

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অগ্নিদগ্ধ শিশু গৃহপরিচারিকা মিনার (১২) শরীরে পচঁন ধরায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে বলে জানা গেছে। 

সে উপজেলার নন্দপাড়া গ্রামের কাজী আব্দুল হকের মেয়ে। গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর পৌরএলাকার থানা পাড়ায় প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামের বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজের সময় গ্যাসের চুলায় চা বানাতে গিয়ে মিনা অগ্নিদগ্ধ হয়। কিন্তু প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আগুনে দগ্ধ মিনাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তার দরিদ্র বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়। এর পর থেকে মিনার বাবা কাজী আব্দুল হক তার মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। 

মেয়ের জীবন বাচাঁতে হতদরিদ্র পরিবারটি নিজের সহায়সম্বল হারিয়ে এবং ধার দেনা করেও অগ্নিদগ্ধ সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। ঘটনার এতদিন অতিবাহিত হলেও সুচিকিৎসার অভাবে মিনার পুড়ে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচঁন ধরে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।

অগ্নিদগ্ধ মিনার বাবা কাজী আব্দুল হক অভিযোগের সুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি দিনমুজরের কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করে আসছিলাম। আমার সংসারের অভাবের দূর্বলতার সুযোগে পার্শ্ববর্তী সলিল গ্রামের সাধু মিয়া আমার মেয়েকে তার আত্মীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামের বাসায় গৃহপরিচারিকার (ছেলে-মেয়ে দেখাশুনার) কাজ নিয়ে দেয়। কিন্তু ওই পরিবার আমার নাবালিকা মেয়েকে দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করাতে থাকেন। 

এক সময় সংবাদ পাই আমার মেয়ে মিনা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়েছে। সেসময় আমি এবং আমার স্ত্রী মিনাকে দেখতে টাঙ্গাইলে প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামের বাসায় গেলে জানতে পারি আমার মেয়ে মিনা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তাকে (মিনাকে) টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে মিনা সঙ্গাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম কৌশলে আমার মেয়ে মিনাকে সদর হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় না নিয়ে আমার বাড়ীতে রেখে যায়। 

এর পর থেকে ওই প্রকৌশলীর পরিবার আজ পর্যন্ত আমার মেয়ের চিকিৎসার কোন প্রকার খোজখবর নেয়নি। প্রথমে আমার সহায়সম্বল বিক্রি করে ও ধার-দেনা করে আমি আমার মেয়ে মিনার চিকিৎসা করালেও বর্তমানে অর্থের অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না। 

আমি সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে আমার মেয়ের সুচিকিৎসায় সাহায্য কামনা করছি পাশাপাশি যে পরিবারের কারনে আজকে আমার মেয়ের এই অবস্থা তাদের শাস্তি দাবী করছি।

সহবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল মোল্লা বলেন, এ মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি আব্দুল হকের বাড়ী গিয়ে অগ্নিদগ্ধ মিনার খোঁজখবর নেই এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। বর্তমানে সে বার্ন ইউনিটের ৩নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে আমি প্রকৌশলী মো. শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মিনার চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থার কথা স্বীকার করলেও এখন ওই প্রকৌশলীর কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মিনা আমার বাসায় কাজ করার সময় গ্যাসের চুলায় অগ্নিদগ্ধ হয়। আমি তার সকল প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত  হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির মওলানা ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে মিলল ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ট

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি