০৭:০৫ পিএম | টাঙ্গাইল, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

ব্রিজ হলেও রাস্তা নেই!

মাসুদ রানা, নাগরপুর | টাঙ্গাইল২৪.কম | বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | |
, টাঙ্গাইল :

সাতটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের দূর্ভোগ কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। কিন্তু গত দেড় বছরেও ব্রিজের দুই পাশে চলাচলের রাস্তা না করায় কোন কাজে আসছে না ব্রিজটি। উল্টো নতুন করে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতেই ডুবে থাকে।

এমনই দূভোগ প্রহাতে হচ্ছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। উপজেলা সদরের সাথে চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিনই এই দূর্ভোগ প্রহাতে হচ্ছে তাদের।  

এলাকাবাসী জানান, আশেপাশের প্রায় ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ। নোয়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ব্রিজ নির্মিত হলেও তারা ব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর উপর ৭২.৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ বছর পর ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্রিজ নির্মাণের পর ব্রিজের দুপাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও মাটি ভরাট করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ব্রিজের নিচ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। 

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী চন্দনা আক্তার জানান, আগে ব্রিজ ছিল না, তখন যেভাবে নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা।

নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজ কিন্তু ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা বাধে। তারা অন্যের জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলম বলেন, ‘মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহবান করবো। আর পাকা রাস্তা থেকে ব্রিজ পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত  হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির মওলানা ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে মিলল ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ট

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি