টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই। একমাত্র পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী জ্ঞানচর্চার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অযতœ ও অবহেলায় লাখ লাখ টাকার মূল্যবান বই ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এখন এটি উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের শয়নকক্ষে পরিণত হয়েছে।
পাঠাগারটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালনা কমিটিতে কারা সম্পৃক্ত এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। পদাধিকার বলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন বলে জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা। তবে খুব দ্রæত পাঠাগারটি চালু করার কথা জানানেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের পাশে দু’তলা ভবনের ছোট একটি কক্ষে এই পাঠাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে স্থানীয় বিদগ্ধ পাঠকদের জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয় এই পাঠাগারটি। পাঠক সমাদৃত পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার দু’এক বছর পর রহস্যজনক কারণে হঠাৎ করেই এটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে উপজেলার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ পাঠকরাও পাঠাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স¤প্রতি ওই পাঠাগারটিতে উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে বসবাসের জন্য দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলায় কর্মরত এক কর্তকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় কর্মরত আছি। কোনদিন এই পাঠাগারটি খুলতে দেখিনি। যেখানে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মত প্রতিষ্ঠান প্রতি ঘরে ঘরে বই পৌঁছে দিচ্ছে সেখানে উপজেলা পর্যায়ের পাঠাগারটি বন্ধ থাকা জ্ঞানচর্চাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মত! পাঠাগারটি চালু থাকলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বই পড়ার সুযোগ পেতো।’ তিনি পাঠাগারটি দ্রæত চালু করার দাবি জানান।
বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় পাঠাগারের সকল প্রকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। উপজেলায় একমাত্র পাঠাগারটি পুনরায় চালু করা অতিজরুরি বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই পাঠাগারটি বন্ধ রয়েছে। এটি পুনরায় চালু করার পরিকল্পানা আছে। আশা করি খুব দ্রæতই এটি চালু করতে পারবো।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...