টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইয়াবা ট্যাবলেট নষ্ট করায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও মারধর করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ী।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত শিশু নাঈম (৫) মাইজবাড়ি গ্রামের ওয়াসিমের ছেলে। একই গ্রামের মৃত ময়নাল হক তালুকদার মাখনের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী শিথিল তালুকদার
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের ওয়াসিমের পাঁচ বছরের শিশুটি মাইজবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন স্থানে খেলতে যায়। এসময় ওই শিশুটি একটি পরিত্যক্ত সিগারেটের প্যাকেট দেখতে পেয়ে হাতে নেয়। এসময় শিশুটি সিগারেটের প্যাকেটটি খেলনা ভিতরে থাকা ইয়াবার ট্যাবলেট নষ্ট করে প্যাকেট ছেড়ে ফেলে। এসময় একই গ্রামের মৃত মাখন তালুকদারের ছেলে ইয়াবা সেবনকারী ও ব্যবসায়ী ইয়াবা নষ্ট হওয়ায় শিশুটিকে নির্মম নির্যাতন ও মারধর করে। এসময় সজোরে শিশুটিকে লাঠি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে শিশুটির দাদী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য এসএম রাসেল কাদের তাকে উদ্ধার করে ভ‚ঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিশু নাঈমের দাদী রোমেছা বেগম জানান, ছোট শিশু। প্যাকেটে কি আছে না আছে সেটা কিভাবে বুঝবে বাচ্চাটি। খেলার সময় প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলেছে। প্যাকেটের ভিতর নাকি ইয়াবা বড়ি ছিল। তাতেই নাতিকে ধরে মারধর ও নির্যাতন করেছে। অনেক ভয় পেয়েছে শিশুটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাইজবাড়ি গ্রামের অনেকেই জানান, শিথিল তালুকদাররা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। শিথিল তালুকদার সেনাবাহিনীতে চাকুরী করতো। শুনেছি বছরখানেক আগে তাকে সেনাবাহিনী থেকে মাদকসেবনের দায়ে চাকুরিচ্যুত করা হয়। এখন সে মাদক ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করছে।
ভ‚ঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাকিবা সুলতানা জানান, মারধর করার কারনে ভয়ে শিশুটি আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে শিশু ওয়ার্ডে ৩ নং বেডের ভর্তি করা হয়েছে। স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।
ভ‚ঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুছ ছালাম মিয়া জানান, শিশু মারধরের কথা শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...