টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন পাঁকা ধান। শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটতে পারছে না অনেক কৃষক। এক মণ ধানের দাম মজুরি দিয়েও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। সাথে থাকছে আবার দুবেলা খাবার। এতে গৃহস্থের শুধু ধান কাটাতেই খরচ পড়ছে মণ প্রতি ৮০০ টাকা।
অন্যান্য খরচ জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক, রোপা শ্রমিক তো আছেই। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, বৃষ্টি, পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে ছিল। এর মধ্যে আবার ধনবাড়ি বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায়। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষককে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১০ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি কৃষকরা সাত থেকে আট মেট্রিক টন ধান পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষকরা জানায়, কমবেশি সব এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। এ বছর শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীরা ধান কাটার কাজে লেগে পড়েছে।
পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের কৃষক জয়নাল জানান, তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক কম থাকায় তাকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এবার বোরো ধানের দাম কম থাকায় তারা কৃষকদের ধান ভালভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে সংরক্ষিত ধান কৃষকরা পরে বিক্রি করে ভাল দাম পায়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...