টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর সেতুর মধ্যে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। যেকোন সময় সেতু ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এমন আতঙ্কে রয়েছে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-তারাকান্দি সড়কের কালিহাতী উপজেলার শ্যামপুর সেতুর দক্ষিণ পাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা অত্যন্ত আতংকগ্রস্থ। অত্যন্ত ধীরগতিতে সেতুটি পাড়াপাড় হচ্ছে যানবাহনগুলো ।
এই সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল এবং ভূঞাপুর উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। এছাড়া তারাকান্দি সার কারখানায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটিই। অনেক সময় টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে যানজট থাকলে উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক হিসেবে এই সড়ককেই ব্যবহার করে। বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের কর্মকর্তারাও এই সড়কে নিয়মিত চলাচল করেন।
ভূঞাপুর থেকে এলেঙ্গাগামী আবু তালেব নামের এক সিএনজি যাত্রী বলেন শ্যামপুর সেতুটি দ্রুত মেরামত করা দরকার।
ঘাটাইলের খায়েরপাড়া থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসের চালক জানান শুধু শ্যামপুর সেতু নয় এই সড়কের অধিকাংশ সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা সেতুতে খুব সতর্কের সাথে পাড়াপাড় হই। সেতুতে উঠার সাথে সাথে বড় ধরনের ঝাঁকুনি লাগে, মনে হয় যেন সেতুটি এখনই ভেঙে পড়লো।
এদিকে এই টাঙ্গাইল-তারাকান্দি সড়কের এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত ১২ টি সেতুর মধ্যে ১০ টি সেতুই দীর্ঘদিন যাবত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। যেকোন সময় সেতু ভেঙে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও নিয়মিত ঘটছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর-এ-আলম বলেন, আগামীকাল (শনিবার) সকালে শ্যামপুর সেতুটি মেরামতের জন্যে লোক পাঠানো হবে। টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের অধিকাংশ সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...