১১:১৬ পিএম | টাঙ্গাইল, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

নির্বাচনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এমপি প্রার্থী জলিল

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | |
, টাঙ্গাইল :

নির্বাচনের খরচ চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল জলিল। তিনি সখীপুর উপজেলা জাকের পার্টির মৎস্যজীবী ফ্রন্টের সভাপতি ও পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ি। দলের কাছে না চেয়েও পেয়েছেন মনোনয়ন। নির্বাচনী আসনের দুই উপজেলায় প্রচারণা চালাতে এখন কমপক্ষে তার ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। তবে এই মুহুর্তে তার ব্যাংকে আছে মাত্র দুই হাজার টাকা। হাতেও নেই কোন টাকা। 

আব্দুল জলিল জেলার সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধি মোতাবেক একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আব্দুল জলিল নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেয়া হলফনামায় বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার। অনুরূপ টাকা ব্যয়ের খাত উল্লেখ করেছেন। ফলে তার হাতে কোন নগদ টাকা নেই। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মাছ ব্যবসা। 

নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে আব্দুল জলিল বলেন, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার করব। এছাড়া আমার একটি পুকুরের মাছ বিক্রি করলে ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। সেই আড়াই লাখ টাকা দিয়েই নির্বাচন চালাতে হবে। তবে এই অল্প টাকায় নির্বাচন শেষ করা তার জন্য খুবই কষ্টের হবে। এজন্য তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দল থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ার কথা জানান তিনি।  

জলিল আরও বলেন, আমি পড়াশোনা করিনি। শুধু নাম দস্তখত করতে পারি। আমি লোক মুখে শুনেছি অনেক অশিক্ষিত লোকও জনগণের ভোটে এমপি হয়েছেন। জনগণ ভোট দিলে এমপি হওয়া অসম্ভব কিছু না। সব আল্লাহর ইচ্ছা। আমি এমপি নির্বাচিত হলে আমি কোনো টাকা পয়সার খাব না। শুধু মানুষের কল্যাণে কাজ করব।

তিনি বলেন, অনেকে ৫০ বছর রাজনীতি করেও দলীয় মনোনয়ন পাননি। আর আমি চাওয়ার আগেই মনোনয়ন পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিপুল ভোটে জয়ী হব।

সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের বিএনপির সাবেক নেতা শরিফ পাপ্পু বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এমপি তো দূরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করা সাহস পাই না। জলিল ও তার বাবা একজন শ্রমজীবী মানুষ । তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেছেন সারাজীবন। আব্দুল জলিল এখনও মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আমাদের গ্রামের গৌরব।

সখীপুর উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি এ দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর আর কোনো কমিটি হয়নি। সখীপুরে এখন জাকের পার্টি অনেকটা নিষ্ক্রিয়। দলের প্রার্থী আব্দুল জলিলকে আমি চিনিনা। কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না। আমি যেহেতু দলে নিষ্ক্রিয় সেহেতু এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছায়ে সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন- বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), অনুপম শাজাহান জয় (আওয়ামী লীগ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল-বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), আব্দুল জলিল (জাকের পার্টি) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

গোপালপুরে গরু চুরির হিড়িক, আতংকে খামারীরা মধুপুরে খাদ্য গুদামে খাদ্য শস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধ কালিহাতীতে অবৈধভাবে বালু বিক্রি হচ্ছে : উদাসীন পাউবো!  ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই নাগরপুরে নবনির্বাচিত প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের শপথ অন ওয়ালটনের নন স্টপ মিলিয়নিয়ার অফার উপলক্ষে র‌্যালী ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত  কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাই নিহত ভূঞাপুরে হেলিকপ্টার প্রতিকের কর্মীসমর্থকের উপর হামলার অ দুধ দিয়ে গোসল করে ঘরে উঠলেন নাবিক সাব্বির কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সারাদেশে দ্বিতীয় টাঙ্গাইলের জুথী  ‘ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’ গোপালপুরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আটক  টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলা সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপির নেতা-নেত্রী বহ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি