টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জামাত শিবির সন্দেহে মাওলানা রাজিবুর ইসলাম (২৫) ও ইসমাইল হোসেন রাশেদ (২০) নামে দুই সহোদর কে পুলিশে দিল পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘাটাইল পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এরা জামালপুর জেলার পিংনা গ্রামের রফিকুল আহসান তালুকদারের ছেলে।
জানা যায়, মওলানা রাজিবুল ইসলাম ঢাকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার তাফসীরুল কুরআনের ছাত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাইলের শান্তি মহল নামের একটি মহল্লায় ভাড়া বাসা নিয়ে থেকে গোপনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর তরুন ও যুবকদেরকে জামাত শিবিরের পালে ভিরানোর জন্য নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয় ফতেরপাড়া গ্রামের আসাদুল (১৪) ও আব্দুল আলিম (১৮) জানায়, তাদেরকে শিবিরের সদস্য বানানোর জন্য ফরম দিয়ে ছিল মওলানা রাজিবুর ইসলাম। কিন্তুু তারা সদস্য হতে রাজি হয়নি। এদিকে জামাত শিবিরের কর্মকান্ড নিয়ে গত পরশু মওলানা রাজিবুল ইসলামের সাথে ঘাটাইল থানা মসজিদের মোয়াজ্জিন খলিলুর রহমানের মতা বিরোধ হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্থির মতো ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জামালপুর তাদের বাড়িতে জানানো হয়। ওই ঘটনায় তার ছোট ভাই ইসমাইল হোসেন রাশেদ (২০) পৌর মেয়রের কার্যালয়ে যায়।
ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান জানান, ইসমাইল হোসেন নামের ছেলেটি চ্যানেল বৈশাখী নিউজ লেখা সম্বলিত একটি ভুম হাতে নিয়ে পৌরসভা কক্ষে ঢোকে ও নানা ভাবে আমাকে বøাকমেইলিং করা চেষ্টা করে। পরে আমি ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্যদেরকে জানাই।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দুই সহোদরকে জামাত শিবিরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে সন্দেহ হলে ঘাটাইল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ইসমাইল হোসেন দৈনিক আজকের জামালপুর ও চ্যানেল বৈশাখী নিউজ পরিচয়ে বøাকমেইলিং করার চেষ্টা করে বলেও তিনি জানান।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো ঃ কামাল হোসেন জানান, তাদের থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...