টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এবছর দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়ির পূজামন্ডপসহ ২০৮ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এসব পূজামন্ডপে এখন পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পূজারীদের নিয়ে সভা করে প্রস্তুতির কাজ সরকারের দেওয়া শর্ত মেনে এগিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এবছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়নে এশিয়াখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়ির পূজামন্ডপসহ ২০৮ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই লক্ষকে সামনে রেখে এখন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া শর্ত মেনে পূজারীগণ তাদের প্রস্তুতির কাজ করছে। এখন প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।
মির্জাপুর পৌর এলাকায় সর্বাধিক ৪৪ টি পূজা মন্ডপে এবছর দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মহেড়া ১১, জামুর্কী ২৫, ফতেপুর ১৬, বানাইল ১৭, আনাইতারা ২, উয়ার্শী ১৩, ভাতগ্রাম ২৪, বহুরিয়া ১০, গোড়াই ১৭, আজগানা ২, তরফপুর ৬, বাশতৈল ৩, লতিফপুর ১৫ এবং ভাওড়া ইউনিয়নে ৩ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ ও মির্জাপুর থানার উদ্যোগে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পুজারীদের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোজখবর নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৈধ্য খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন পাল বলেন, এবছর করোনাকালে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। সরকারের দেওয়া শর্ত মেনেই আমরা পূজা আয়োজনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রমথেশ গোস্মামী শংকর বলেন, আমরা পূজারীদের নিয়ে একাধীক সভা করেছি। করোনা মহামারির কারনে সরকারের দেওয়া সব শর্ত উপজেলার প্রতিটি পূজামন্ডপের পূজারীদের নিকট পৌছে দিয়েছি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...