দিনের বেলায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পরই পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা, রাবনা বাইপাস, জোকার চর ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ও পশ্চিম টোলপ্লাজা দিয়ে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ প্রায় ৩২ হাজার পরিবহন পারাপার হয়েছে। তবে এদের মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার।
জানা গেছে, বিগত বছরের মত ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোন যানজটে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের। মহাসড়ক চারলেনে উন্নতি করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ন স্থানে আন্ডারপাস ও অভারপাসের কারণে পরিবহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সারাদিন মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, সল্লা, জোকারচর ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় পরিবহনের চাপের কারণে দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কে যাত্রীবাহি পরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। ঈদে ঘরে ফিরতে নিম্নআয়ের মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে কারোর মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বা সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি।
মহাসড়কের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন বলেন, সারাদিন মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করেছে। এতে ঢাকা হতে পরিবহনগুলো চারলেন ব্যবহার করে মহাসড়কের এলেঙ্গা পর্যন্ত আসছে। এরপর বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার একলেনের সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...