টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কয়েকটি শুকনো গাছ যেন মানুষের কাছে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে করে ঘটতে পারে অনাকাঙ্কিত যে কোন ধরণের দুর্ঘটনা। এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে গাছের পাশে ও নিচে উপজেলা পরিষদ ভবন। ঝুঁকিপূর্ণ এই শুকনো গাছগুলো কেটে ফেলার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়তই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণরা যাতায়াত করেন। কিন্তু গাছগুলো কেটে ফেলার কোন উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে ৩টি শুকনো গাছ প্রায় ১ বছর যাবৎ দাঁড়িয়ে আছে। গাছগুলোর ডালপালার পাতাও ঝড়ে গেছে বহু আগে। রয়ে গেছে ছোট-বড় ডাল। যা বাতাসে ভেঙে মাটিতে পড়ে। মানুষের চলাচলেও রয়েছে ঝুঁকি।
স্থানীয়রা বলছে, এসব শুকনো মরা গাছগুলো কেটে ফেলাই উত্তম। কেননা গাছগুলো ছায়া প্রদানে কোন কাজে আসবে না। উল্টো মানুষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। তাই যত দ্রুত সম্ভব ঝুঁকি এড়াতে গাছগুলো কেটে ফেলা উচিত।
উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন কাজে আসা লোকজন জানান- ‘পরিষদ চত্বরে ৩টি বড় বড় (ইউক্যালিপটাস) গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। কাল বৈশাখের ঝড় ও বাতাসে যে কোন সময় মরা গাছগুলো ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি আর আতঙ্কের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। যদি উপজেলা প্রশাসন দ্রুত গাছগুলো কেটে ফেলে তাহলে অনাকাংখিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাসরীন পারভীন জানান- ‘সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই শুকনো মরা গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য উদ্যোগ নিয়ে ডিসি মহোদয়ের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার মাধ্যমে গাছ কেটে ফেলা হবে। তবে আগেই অনুমতি পাওয়া যেত, সম্ভবত করোনার কারণে তা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুল হালিম এ্যাডভোকেট জানান- ‘শুকনো গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল ডিসি মহোদয়ের কার্যালয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন। এখনো তা অনুমতি পায়নি। আর গাছগুলো কেটে ফেলার দায়িত্ব উপজেলা পরিষদের নয়।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...