টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের দেওলীপাড়া দক্ষিনপাড়ার ২০টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। তথ্য গোপন করে পালিয়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মির্জাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধামরাই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করায় ওই বাড়িগুলো লকডাউন করে প্রশাসন।
এ ঘটনায় ধামরাই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ৪০টি বাড়িও লকডাউন করেছে ধামরাই উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক ওই বাড়িগুলো লকডাউন করে দেন। এসময় মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম, মির্জাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।কত জন তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাকসুদা খানম জানান, খুব শীঘ্রই তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানিয়েছেন এর আগ পর্যন্ত ওইসব বাড়ির বাসিন্দারা সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকবেন। এ সময়ে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কোন দ্রব্যের প্রয়োজন হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হবে। এই সময়ে ওইসব বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশ পাহাড়ায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক তদন্ত গিয়াস উদ্দিন।
জানা গেছে, ‘আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায়। তার বয়স ৪৬ বছর। তিনি রাজবাড়ী জেলায় চাকরি করেন। অসুস্থ বোধ করায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা জমা দিয়ে টাঙ্গাইলে চলে যান। এরপর জানতে পারেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত। বিষয়টি গোপন করে ২৫ এপ্রিল তিনি ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসেন।’
এদিকে পাইকপাড়া গ্রাম মির্জাপুর উপজেলার দেওলীপাড়া দক্ষিনপাড়া গ্রাম সংলগ্ন হওয়ায় ওই ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...