টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে প্রবেশ করায় সময় টিভির টাঙ্গাইল রিপোর্টার কাদির তালুকদার ও ক্যামেরা পার্সন রাশেদ খানের বাড়ী লক ডাউন ঘোষনা করেছে প্রশাসন। এদের বাড়ী শহরের কাগমারা ও এসপি লেক সংলগ্ন ধুলের চর এলাকায়।
গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) উপমা ফারিসা বাড়ি দুটি লকডাউন করেন। এ সময় তিনি ওই দুই বাড়ীতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয় এবং আশেপাশের সকলকে সতর্ক করে আসেন।
জানা যায়, রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার দৃশ্য ধারন করতে যায় সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন রাশেদ খান। এ সময় রিপোর্টার কাদির তালুকদার ওই হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে প্রশাসন রাতেই ওই বাড়ী দুটি লক ডাউন ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে সময় টিভির রিপোর্টার কাদির তালুকদার বলেন, বিকেলে ক্যামেরা পার্সন রাশেদ খান পিপিই পড়ে ও নিরাপত্তা বজায় রেখে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ছবিধারণ করে। এ সময় আমি হাসপাতালে অবস্থান করছিলাম। পরে তাকে নিয়ে আমি মোটরসাইকেল যোগে অফিসে যাই। সেখান থেকে নিউজ পাঠিয়ে আমরা বাড়ী চলে আসি। পরে রাতে প্রশাসন এসে আমাদের দুই জনের বাড়ী লক ডাউন করে গেছে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) উপম ফারিসা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন এড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রবেশ করা ও করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসায় ওই দুই সংবাদকর্মীর বাড়ী দুইটি লক ডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের দুই জনকে ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...